আপন গতিতে সহজাত দ্যুতি ছড়িয়ে ছুটে চলেন আনহেল ডি মারিয়া। পিএসজির হয়ে গোলের মধ্যেই ছিলেন, আর্জেন্টিনার হয়েও মাঠে নামলেই গোলের দেখা পান, সাসুলোর বিপক্ষে সিরি’আ অভিষেকও দুর্দান্ত হয়েছে ডি মারিয়ার।
গোল করতে আর্জেন্টাইন এই তারকা সময় নেন ২৫ মিনিট। এরপর দুসান ভ্লাহোভিচের গোলেও বড় অবদান রেখেছেন তিনি। তবে এরপরই আসে সেই চোট। অ্যাডাক্টরের চোট নিয়ে কাতরাতে কাতরাতে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে।
ম্যাচ শেষে জুভেন্টাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চোটের ভয়াবহতা। কোচ ম্যাসিমিলানো অ্যালেগ্রি জানিয়েছেন, ‘আমি খুব বেশি চিন্তিত নই। আমরা দেখব ফলাফলটা কী দাঁড়ায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন হয়েই থাকে ফুটবলে।’
এরপর অ্যালেগ্রি জানালেন, এমন চোট নাকি এক সপ্তাহ আগেও ছিল ডি মারিয়ার! নিজের ভুলও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘তার অ্যাডাক্টরের চোটটা এক সপ্তাহ আগেও ছিল। আমরা যখন ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিলাম, তখনই সম্ভবত তাকে তুলে নেওয়া উচিত ছিল আমার। কিন্তু সে সেখানে ম্যাচটা উপভোগ করছিল।’
জুভেন্টাস জানিয়ে দিয়েছে ১০ দিন পর পুনর্মূল্যায়ন করা হবে তার এই চোট। যার মানে দাঁড়াচ্ছে, সিরি’আতে অন্তত আগামী দুই ম্যাচের জন্য তাকে পাবে না জুভেন্টাস।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বিশ্বকাপের বাকি আছে আরও তিন মাসেরও বেশি সময়, ডি মারিয়া তো এই সময়ে চোট কাটিয়ে উঠতেই পারেন! তা পারেন বটে, কিন্তু যা কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিকে ভাবাতে পারে, সেটা হলো ডি মারিয়ার চোটপ্রবণতা।
পায়ের পেশিতে চোট নিয়ে ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় ভুগেছেন তিনি। সেই চোটের সমস্যাই আবারও ফিরে ফিরে আসছে ডি মারিয়ার কাছে। বিশ্বকাপেও এমন কিছুর শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না তাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।